গণমাধ্যমের ওপর সেন্সরশিপ হয়নি: হানিফ
গণমাধ্যমের ওপর নতুন করে সেন্সরশিপ আরোপ করা হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়ায় নিজ বাসভবনে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এটা কোনো সেন্সরশিপ নয়। পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশে নেতিবাচক খবর প্রচার করা হয় না। এটা চাপিয়ে দেওয়া নয়, বরং সমাজের প্রতি নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকেই এটা করা।
নেতিবাচক সংবাদ সম্প্রচার করলে সন্ত্রাসীরা উৎসাহিত বোধ করবে। সন্ত্রাসীরা যাতে উৎসাহিত না হয়, সেজন্য নেতিবাচক খবর প্রচার করবে না বলে কথা দিয়েছে টিভি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ।
হানিফ বলেন, ‘এটার মধ্যে সেন্সরশিপ হলো কীভাবে, কোনো সেন্সরশিপ করা হয়নি। বেগম খালেদা জিয়ার এসব (সেন্সরশিপ) ব্যাপারে জ্ঞানের ঘাটতি আছে। উনাকে কেউ মিথ্যা বুঝিয়ে এসব কথাবার্তা বলাচ্ছেন। নেতিবাচক সংবাদ প্রচার কোনো সাংবাদিক বা সংবাদমাধ্যমের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।’
তারেক জিয়াকে যুক্তরাজ্য থেকে ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক যদি অপরাধ করে বিদেশে পালিয়ে থাকে, সে ফেরারি আসামি হিসেবে বিবেচিত হবে। তাকে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব আছে। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মহল বা বিভিন্ন দেশ সরকারকে সাহায্য করবে এটাই জাতির আশা।
হরতাল অবরোধ নিরসনে বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে হানিফ বলেন, যারা পেট্রোলবোমা মেরে, বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করছে তারা সন্ত্রাসী।
এই সন্ত্রাসী কর্মকা- বন্ধ করার জন্য কোনো সন্ত্রাসীর সঙ্গে আলোচনার সুযোগ নেই বা যোক্তিকতাও নেই। নাশকতা বন্ধ করে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা দূর করলেই, সরকার দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা করার জন্য চিন্তা করতে পারে। মানুষকে জিম্মি করে দাবি আদায় করা বরদাশত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন হানিফ।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক শেখ হাসান মেহেদী, কুষ্টিয়া সদর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল খালেকসহ দলীয় নেতা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।